প্ররোচিত প্রসব কেন?
যখন গর্ভাবস্থার সম্ভাব্য সময় পেরিয়ে যায় তখন একটি প্ররোচিত প্রসব বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়, কারণ এই অবস্থায় সন্তানের ঝুঁকি থাকে। এর কারন হল প্ল্যাসেন্টাটি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং তা হয়তো বাচ্চাকে যথেষ্ট অক্সিজেন এবং পুষ্টি সরবরাহ নাও করতে পারে এবং এমনকি কাজ করাও বন্ধ করে দিতে পারে।
প্রসবকে প্ররোচিত করার অনেকগুলি উপায় রয়েছে:
ঝিল্লী চিরে দেওয়া: ঝিল্লী টেনে অথবা চিরে দেওয়া প্রসব ত্বরান্বিত করে এবং এমন মায়েদের দেওয়া হয় যাদের বিশেষ করে প্রথমবার গর্ভাবস্থায় প্রসবের সময় পেরিয়ে গিয়েছে। ভ্রূণকে ঘিরে থাকা ঝিল্লী খুলে ফেলা হয় এবং এটিই প্ররোচনার সবচেয়ে পছন্দসই পদ্ধতি।
কৃত্রিমভাবে ঝিল্লী অথবা এআরএম ফাটানো: এর অর্থ ‘জল ভাঙ্গা’ অথবা হবু মায়ের অ্যামনিয়োটিক থলি ফুটো করা। চিকিৎসাগত শাখার কয়েকটি বিভাগ এখনো প্রসব প্ররোচিত করার জন্য এবং যদি প্রসবের অগ্রগতি না হলে প্রসব ত্বরান্বিত করার জন্য এই উপায়টি নির্বাচন করেন। বেশিরভাগ চিকিৎসকরা এই পদ্ধতি পছন্দ করেন না কারন এতে জল ভাঙ্গার পরে ভ্রূণের সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে। অন্যান্য প্ররোচনার পদ্ধতির সাথে এই পদ্ধতি ব্যবহার করে উল্লেখযোগ্যভাবে উৎসাহব্যঞ্জক ফলাফল লক্ষ্য করা গেছে।
প্রোস্টাগ্লান্ডিন: একটি ট্যাবলেট হয়তো মৌখিকভাবে দেওয়া হতে পারে অথবা যোনির ভেতরে জেল প্রবেশ করানো হতে পারে। এই পদার্থটি যোনির দেওয়াল পাতলা করে দেয়। এই পদ্ধতিটি হয়তো একক ভাবে অথবা অক্সিটোসিনের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করা হতে পারে।
সিন্টোকিনোন: এটি অক্সিটোসিন হরমোনের সিন্থেটিক রূপ এবং উপরে উল্লিখিত উপায়গুলি ব্যর্থ হলে এটি প্রাথমিকভাবে খুব সামান্য পরিমাণে ব্যবহার করা হয়। অন্যান্য উপায়গুলির তুলনায় এটির অনেকগুলি অসুবিধা রয়েছে। যদি অন্যান্য উপায়গুলি কাজ না করে থাকে, চিকিৎসক হয়তো সিন্টোকিনোনের একটি বিকল্প হিসেবে সিজার করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন কারন এটি শক্তিশালী সংকোচনের কারন হতে পারে এবং শিশুকে তীব্র চাপের মুখে ফেলে দিতে পারে।
পরবর্তী কোন পদক্ষেপ নেওয়ার আগে আপনাকে সবসময় চিকিৎসকের সাথে আলোচনা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আপনার জন্য সবথেকে ভালো কি তা বলার জন্য তিনিই শ্রেষ্ঠ অবস্থানে থাকেন। পরিশেষে, শান্ত এবং আত্মবিশ্বাসী থাকুন এবং আপনার সন্তানকে আমাদের পৃথিবীতে স্বাগত জানানোর আনন্দের জন্য অপেক্ষা করুন।
English | Tamil | Hindi | Telugu | Bengali | Marathi |
0 reviews