আপনি নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি খেয়াল করার পর স্বাভাবিক যোনি দ্বারা প্রসব শুরু হবে:
শিশুর জন্মের পদ্ধতি নিয়ে ভয় পাবেন না।আপনার শরীর নিজেকে এই চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত করে নেবে। প্রসবের সময় গভীর নিশ্বাস ও সামান্য ধৈর্য্য আপনাকে চ্যালেঞ্জের সাথে মোকাবিলা করতে সাহায্য করবে।
- হাল্কা হয়ে যাওয়া বা যখন শিশু শ্রোণিতে যাওয়ার জন্য নীচে নেমে যায় বা সরে যায়
- তীব্র ও নিয়মিত খিঁচুনি
- নীচের পিঠে ব্যথা ও খিঁচুনি, যা কমছে না
- শ্লেষ্মাযুক্ত প্লাগ বের হচ্ছে
- জল ভেঙ্গে যাচ্ছে
একটি শিশু কিভাবে জন্মায় তা এখানে দেওয়া হল:
প্রথম পর্যায়
প্রথম পর্যায়টি প্রসববেদনা দিয়ে শুরু হয় এবং সার্ভিক্স খুলে যাওয়ার মাধ্যমে সেটি শেষ হয়। এই পর্যায়টি সাধারণভাবে 12-19 ঘন্টা স্থায়ী হয়। যখন আপনি নির্দিষ্ট তারিখটির দিকে এগিয়ে যান, আপনার শিশুর মাথা নীচের দিকে নেমে যায় আপনার পিঠের দিকে মুখটি থাকে। যদিও, কখনও কখনও একটি শিশুর মুখ তার মায়ের পেটের দিকে হয়ে থাকে এবং এর ফলে মারাত্মক পিঠে ব্যথা হতে পারে। এই সময়ে, খিঁচুনি খুব শক্তিশালী হয় এবং শিথিলতার সময় খুব কম থাকে, কারণ সার্ভিক্স কয়েক সেন্টিমিটার ছড়িয়ে যায়।
দ্বিতীয় পর্যায়
সার্ভিক্স সম্পূর্ণরূপে খুলে গেলে, শিশুটি এই সময়ে জন্মায়, যা 20 মিনিট থেকে শুরু করে 2 ঘন্টা পর্যন্ত চলে। এই পর্যায়ে, একজন মা শিশুটিকে যোনি পথের দিকে ঠেলে দেয় এবং শিশুর মাথা প্রথমে বেরিয়ে আসে, তারপর বাকি শরীরটা। শিশুর জন্ম হয়ে গেলে আম্বিলিকাল কর্ডটি কেটে দেওয়া হয়।
তৃতীয় পর্যায়
প্রসবের তৃতীয় ও চূড়ান্ত পর্যায়টি হল গর্ভাশয়ের সংকোচন এবং শিশুর জন্মের পর প্ল্যাসেন্টাটি প্রসব করা। জন্মের শীঘ্র পরেই, ডিম্বাশয়টি সংকুচিত হতে শুরু করে আর এই পর্যায়টি 5-30 মিনিটের মধ্যে সম্পূর্ণ হয়। এই পর্যায়ে আপনার ঠান্ডা লাগতে পারে ও কাঁপুনী হতে পারে।
কিছু কিছু চিকিৎসাগত অবস্থায় আপনার শিশুর জন্মের জন্য আপনাকে সি-সেকশন বা সিজেরিয়ান প্রসব করাতে হতে পারে।
দীর্ঘ অপেক্ষাটি শীঘ্র পার হয়ে যাবে এবং আপনি আপনার ছোট্ট বিস্ময়টিকে আপনার হাতে ধরতে পারবেন।
English | Tamil | Hindi | Telugu | Bengali | Marathi |
0 reviews