এখানে গর্ভাবস্থা চলাকালীন বেশ কিছু কি করা উচিৎ এবং কি উচিৎ নয় তা আলোচনা করা হয়েছে যা আপনি এবং আপনার সন্তানকে সুস্থ এবং সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করবেঃ
গর্ভাবস্থা চলাকালীন স্বাস্থ্যকর খাবার খান যার মধ্যে থাকবে ফল, সবজি, গোটা দানা শস্য, ডাল এবং কলাই, বাদাম এবং চর্বিহীন মাংস।
জলযোজিত থাকার জন্য এবং আপনার ভেতরের সন্তানকে সাহায্য করার জন্য যথেষ্ট পরিমাণে জল পান করুন।
আপনার আয়রন এবং ফোলিক অ্যাসিডযুক্ত সহায়ক খাদ্য নিয়মিত গ্রহণ করুন। কোন পুষ্টিকর সহায়ক খাদ্য গ্রহণ করার আগে আপনার চিকিৎসকের সাথে আলোচনা করুন।
কোন ওষুধ শুরু অথবা বন্ধ করার আগে সবসময় আপনার চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন। প্রেসক্রিপশন, কাউন্টার- থেকে পাওয়া ওষুধ এবং ভেষজ ওষুধ সমস্ত কিছুই আপনার সন্তানের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
সক্রিয় থাকুন এবং নিয়মিত কসরত করার নিয়ম মেনে চলুন যা আপনাকে সুস্থ রাখবে এবং আপনার প্রসবের যন্ত্রণা সহ্য করার ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলবে।
প্রতি রাতে অন্তত 7 থেকে 9 ঘণ্টা ঘুমনোর চেষ্টা করুন। আপনার বামপাশে ফিরে শোয়ার অভ্যাস করুন যার ফলে আপনার এবং আপনার সন্তানের মধ্যে রক্ত সরবরাহ ভালো হয় এবং স্ফীতি প্রতিরোধ করে।
হবু- মায়েদের অবশ্যই ধূমপান, মদ্যপান এবং বেআইনি ড্রাগ সেবন এড়িয়ে চলা উচিৎ।
ধূমপান গর্ভপাত, সময়ের আগে প্রসব এবং শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে এবং তার সাথে অ্যালকোহল এবং বেআইনি ড্রাগও আপনার সন্তানের ক্ষতি করে।
দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক (অর্থাৎ 14-28 সপ্তাহের মধ্যে) গর্ভাবস্থায় ঘুরতে যাওয়ার জন্য আদর্শ সময়। গাড়িতে অথবা বিমানে যাওয়ার সময় দীর্ঘ সময় বসে থাকা এড়িয়ে চলুন।
গাড়ি অথবা বিমানে যাত্রা করার সময় সিটবেল্ট পড়তে ভুলবেন না। কোথাও ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করার আগে সবসময় আপনার চিকিৎসকের সাথে আলোচনা করুন ।
আপনি নিজেকে এবং আপনার সন্তানকে পরিবেশগত বিষাক্ত উপাদানের (রাসায়নিক, পরিষ্কার করার জিনিস, কীটনাশক), জৈব আণুবীক্ষণিক সংক্রমণ এবং এমনকি পোষ্যের সংস্পর্শ থেকে দূরে রাখুন।
গর্ভাবস্থা চলাকালীন নিয়মিত পরীক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হয় এবং যদি আপনি কোন রকম অসুবিধার সম্মুখীন হয়ে থাকেন আপনার চিকিৎসককে তা জানাতে দ্বিধা করবেন না।
English | Tamil | Hindi | Telugu | Bengali | Marathi |
0 reviews